করোনাভাইরাস আতঙ্ক: প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রফতানি বাজারে

মৌসুমের এই সময়ে কাঁকড়া আর কুঁচে বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটতো খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার চাষিদের। কিন্তু বিপুল পরিমান অবিক্রিত কাকড়া ও কুঁচের কারণে এখন দুশ্চিন্তায় তারা। তারউপর মড়কের হাত থেকে রক্ষায় নিতে হচ্ছে বাড়তি পরিচর্যা।

দেশে উৎপাদিত ৮৫ শতাংশ কাঁকড়া এবং ৮৭ শতাংশ কুঁচে, চীনে রপ্তানি হতো। চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে আমদানি স্থগিত রেখেছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চাষি ও ব্যবসায়িরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

বিভাগীয় মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, তিন জেলায় কাঁকড়া ও কুঁচে খামারি প্রায় পচিশ হাজার। এই সময়ে দিনে অন্তত ৩৫ মেট্রিকটন কাকড়া আর কুঁচে যায় বিদেশের বাজারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তিন সপ্তাহ ধরে চালান পাঠানো বন্ধ। এতে কয়েকশ’ টন কাঁকড়া ও কুঁচে অবিক্রিত পড়ে আছে।

মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরে কাকড়া ও কুঁচে রফতানি হয়েছে এক হাজার ৮শ কোটি টাকার। ১৮-১৯ অর্থ বছরে যা ছিল তিনশ’ কোটি টাকার ঘরে।

মৎস্য অফিস বলছে, চীনে রফতানি বন্ধ থাকায় হংকং, কোরিয়া ও তাইওয়ানের বাজারেও দাম পড়ে গেছে।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, সংকট সামাল দিতে বিকল্প দেশের খোঁজ করা হচ্ছে।

এদিকে, বেশিরভাগ খামারি ঋণ নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাই লাভের অংকের চেয়ে এখন ব্যাংক আর সমিতির সুদ নিয়েই দুশ্চিন্তা তাদের।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!